কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোড় পূর্বক ধর্ষনের শিকার হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর গড়কান্দা গোনাপাড়া মহল্লার নূরেছা বেগম (৩০) নামের এক বিধবা মহিলা। সু বিচার চেয়ে নূরেছা বেগম শেরপুরের নারী ও শিশূ নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগপত্রের সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ বছর পূর্বে ছোট দুই সন্তান রেখে নূরেছার স্বামী নুর মোহাম্মদ মারা যায়। এদিকে একই এলাকার ভাইয়ের পরিচয়ে দিয়ে অনেক দিন ধরে বাড়ীতে যাতায়াত করতে আঃ মোতালেবের ছেলে কামরুল (৩০) নামের এক ব্যাক্তি। এক পর্যায়ে কামরুলের কু নজর পরে নুরেছার উপর এবং খারাপ প্রস্তাবও দেয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নুরেছা কামরুলের পরিবারকে জানায়। কামরুলের পরিবার কামরুল কে এ বিষয়ে সর্তক করলে কামরুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে ২১ অক্টোবর রাতে একই এলাকার কামরুল তার বন্ধু আঃ মান্নানের ছেলে ইছব কে নিয়ে তাকে পাহাড়ায় রেখে সন্ধার পর নূরেছার বাড়ীতে গিয়ে সুযোগ বুঝে জোড় পূর্বক ভাবে নূরেছাকে ধর্ষন করে করে বলে অভিযোগে বলা হয়। এ ঘটনায় ২৩ অক্টোবর কামরুল তার সহযোগি ইছবকে আসামি করে শেরপুরের নারী ও শিশূ নির্যাতন দমন আইনে ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়ের করে নূরেছা। ২৪ অক্টোবর নালিশী দরখাস্তে অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহন করে আদালত। পরে আদালত বিষয়টির অনুসন্ধান করে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নারী ও শিশূ নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী নূরেছা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর হতে কামরুল অনেক দিন ধরে আমাকে কু নজরে দেখছে এবং কু প্রস্তাবও দিয়েছে। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ধর্ষন করে। এদিকে কিছু কু চক্রী এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে আমি সু বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
্এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসির আহমেদ বাদল বলেন, নুরেছার কাগজ। আসলেই দেখা হবে।