বগুড়ার গাবতলীতে টাকা না দেয়ায় মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পুলিশের বিতর্কিত এসআই কর্তৃক কলেজছাত্রী নববধূকে মারপিট করে জখম করার চাঞ্চাল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত গাবতলী মডেল থানায় কর্মরত এসআই রিপন মিয়াকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে পুলিশের একজনএসআই এর এ ধরনের আচরনের সংবাদে গোটা বগুড়ায় সাধারন মানুষের মধ্য মি¯্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার রাতে তাকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে কেøাজ করা হলেও মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাবতলী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) সেলিম হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি গতকাল এই সাথে এসআই রিপনকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।।
এদিকে গাবতলী থানায় কর্মরত এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এসআই রিপনের বহু অপকর্ম পর্যায়ক্রমে বেড়িয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের আদি গ্রামের বাড়ী সৈয়দপুরে হলেও তার জন্ম এই বগুড়ার গাবতলীতে।
খোজ নিয়ে যানা গেছে, বেশ ক’বছর আগে এসআই রিপনের বাবা বগুড়ার গাবতলীতে বস্ববাস করা কালে শ্রমিক সর্দার ছিলেন। স্থানীয় একটি বিশেষ মহল ও প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা থাকার সুবাদে গাবতলী থেকেই বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন তিনি।
এরপর বগুড়া বদলী হয়ে আসার পর তিনি তরি কর্মস্থল হিসাবে গাবতলী মডেল থানায় যোগদান করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,গাবতলী থানায় যোগদানের পর পরই তিনি স্থানীয় একটি বিশেষ মহলও প্রভাবশালী মহলের সাথে পূর্ব সখ্যতা থাকার কারণে ধরাকে সরা জ্ঞান করা শুরু করেন। আসামি ধরার নামে সেচ্ছাচারিতা, ক্ষমাতার অপব্যবহার, সাধারন মানুষের সাথে অসথ আচরন, আটক বানিজ্য, মারপিট ,চাঁদাবাজী সহ কর্তব্য পালনের নামে বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যাস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তার অধিনস্থদের কুক্ষিগতই করে রাখেননি, তার বিরুদ্ধে উর্ধতনদের সাথে ডেম কেয়ার আচরনের বিষয়টি বগুড়া পুলিশ সুপার পর্যন্ত অবহিত ছিলেন যে, বিষয়টি ইত্বমধ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।
এমনি এক ঘটনায় থানার এই বিতর্কিত এসআই রিপন মিয়াকে না জানিয়ে মামলা মীমাংসা করে বিয়ে সম্পন্য করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে তিনি হাজির হয়েছিলেনতিনি নববধূ কলেজছাত্রী মনিরা আকতার কেমি(২০)এর শশুর বাড়ীতে। মিমাংশিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে রিপন মিয়া দায়িত্ব প্রাপ্তির পর থেকে হাজার হাজার টাকা দুই পরিবারের নিকট থেকে উৎকচ নিয়েছিলেন তিনি।
তাকে না বলে মিমাংসা করে বিয়ে করায় রোববার রাতে উপজেলার খুপি মধ্যপাড়া গ্রামে দরজা ভেঙ্গে ঘড়ে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। ওই সময় সেখানে নব বধু বরা শুয়ে টেলিভিশন দেখছিলেন। এ সময় সেখানে চড়াও হয়ে ১০হাজার টাকা উৎকচ দাবী করেন তিনি। টাকা দিতে অপারকতা দেখালে নব বধু মনিরাকে আক্তারকে বেধড়ক ভাবে মারপিট করে সে। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয় সে। তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সটকে পড়ে এসাই রিপন।
পরে আহত মনির আক্তার কেমিকে রাতেই বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এবং কতিপয় মিডিয়া ম্যান বিষয়টিকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়। এদিকে এ ঘটনায় বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ হতে থাকলে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।