কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এ বছর রাজারহাট উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় জেএসসিতে ৪টি কেন্দ্রে ২৭৭৭জন ও জেডিসির একটি কেন্দ্রে ১০৫০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। ৬নভেম্বর বুধবার পরীক্ষা চলাকালিন সময় উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই। কেন্দ্রগুলোর বাইরের পরিবেশও ছিল সন্তোষজনক।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, রাজারহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারহাট আদর্শ বিএল উচ্চ বিদ্যালয়, নাজিমখান স্কুল এ- কলেজ ও রাজারহাট ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নাজিমখান স্কুল এ- কলেজ কেন্দ্রে প্রথম দিন পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের দায়ে ১জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। এ ছাড়া সবগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। ৬নভেম্বর বুধবার পরীক্ষা চলাকালিন সময় উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। পরীক্ষার বিষয়ে রাজারহাট পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভির আওতায় কেন্দ্রটি হওয়ায় কোন রকমের নকল কিংবা বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। এ ছাড়া পরিদর্শকরাও ডিউটি ফাঁকি দেয়ার উপায় নাই। রাজারহাট আদর্শ বি এল উচ্চবিদ্যালয় অপর কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান আঁশু বলেন,যে কোন সময়ের চেয়ে এবারের পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠ। সিসিটিভির আওতায় গোটা কেন্দ্র মনিটরিং করা হচ্ছে। এমনকি জেডিসির একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র রাজারহাট ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ হক্কানী বলেন, আমার কেন্দ্রে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা চলছে। প্রত্যেকটি কক্ষের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে কক্ষ পরিদর্শকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কক্ষ পরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হবে বলে তিনি জানান। গোটা কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা:যোবায়ের হোসেন বলেন, এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমিসহ আরও একজন ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রেগুলোতে মনিটরিং করছি। এ ছাড়া প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ১জন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে জিরো-ট্রলারেন্স নীতিতে অটল রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।