ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নিজেদের মধ্যে আধিপত্ত্য বিস্তার ও ইউনিয়ন বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লাঠি-সোডা নিয়ে তাদের উভয় গ্রুপের মহড়ায় স্থানীয় জন-সাধারণ, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রী ও চলমান জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় এবং জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তার বিঘœ ঘটার আশঙ্কায় হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আজ বৃস্প্রতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল করিম ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন ১৪৪ ধারা বলবদ থাকা পর্যন্ত রাজনৈতিক সংগঠনগুলো তাদের দলীয় কার্যালয়ে অথবা কোন জায়গায় পাঁচ এর অধিক ব্যক্তি সমবেত হতে পারবে না এবং কোন প্রকার মিছিল-মিটিং করতে পারবে না। হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে জন-সাধারণ মধ্যে আতঙ্ক ও ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় হরিপুর উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হরিপুর উপজেলায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। যদি কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠন এ আদেশ অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জন-সাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ও তাদের দৈন্যদিন কার্যক্রম প্রতি কোন প্রকার প্রভাব পড়বে না।
হরিপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ আমিরুজ্জামান বলেন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর জন-সাধারণের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার বিভিন্ন গুরুপূর্ণ স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন কেন্দ্র ঘোষিত আমাদের চলমান রাজনৈতিক দলীয় কর্মসূচিকে ব্যাঘাত ঘঠাতে উপজেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে একটি মহলকে খুশি করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাই।
উল্লেখ, বিগত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে-বিপক্ষে নির্বাচন করা নিয়ে হরিপুর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অঙ্গনে দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেও এই দুইটি গ্রুপ তাদের দলীয় আধিপত্ত্ব বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।