এলএলবি ডিগ্রীর দাবিতে এলএমএ অনুষদের আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই নয় দফা দাবিতে ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আন্দোলনে ফের উত্তাল পবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্দ আন্দোলনকারীরা। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ ক্যাম্পাসে না থাকলেও তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সেবা গ্রহীতারা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তারা এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এক স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় একই অনুষদে সিএসই ও আইন বিষয়ক অনুষদ সংযোজন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও গেল ১৬ বছর যাবত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নূন্যতম জিপিএ এসএসসি ও এইচএসসির চতুর্থ বিষয় বাদে সর্বমোট ৮.০০ করতে হবে, ভর্তি পরীক্ষার ফলের সম্পূর্ণ বিবরণসহ প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করতে হবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের যথার্থতা রক্ষার্থে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আওতাধীন রেখে সিএসইর সঙ্গে ইসিই, ইইই, এমই ডিপার্টমেন্ট যুক্ত করতে হবে, ক্লাসরুম ও ল্যাবের সঙ্কট দূর করতে হবে, শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে হবে, অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম অটোমেশন করতে হবে, সকল দাবিসমূহের লিখিত অনুমোদন আগামী ১ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে হবে, ১-৩ নম্বর দাবিসমূহ আগামী ১ কার্যদিবসের মধ্যে এবং বাকি ৪-৮ নম্বর দাবিসমূহ আগামী ১ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবিগুলো না মানলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ সংশোধন করে পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি জানান তারা। বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন হোসেনের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডিসহ একদল তরুন শিক্ষক আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল ৫টা নাগাদ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।