রাজশাহীর বাঘায় এক গৃহবধুকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে সোহান ইসলাম নামের যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোহান ইসলাম (২৬) উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার এক গৃহবধু (২৭) এর সাথে দেড় বছর আগে সোহানের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তাকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। তারপর সোহানকে এধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সোহানের বাবাকে জানান। তারপরে বন্ধু মিঠুর সহায়তায় গৃহবধুর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আপত্তিকর কথা বলে। একপর্যায়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৬টার দিকে গৃবধুর দ্বিতীয় তলার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ওড়না ধরে টান দেয়। এ সময় তার চিৎকারে গৃবধুর পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা এগিয়ে আসলে দোতলা থেকে নীচে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা সোহানকে আটক করে পুলিশকে খবর খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় আনে। ওই গৃহবধু বাদি হয়ে সোহান ও তার বন্ধু মিঠনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।
স্থানীয়রা জানান, উভয়ের মধ্যে পরকিয়ায় গৃহবধুর সাথে দেখা করতে এসে বাড়ির লোকজন জেনে যায়। পরে পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার হাজতে আটক সোহান ইসলাম জানান, আমার সাথে বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে কথা বলতো ওই গৃহবধু। পুর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে গৃহবধুর ডাকে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ঘর থেকে বের হয়ে আসার সময় স্থানীয়রা চোর চোর বলে ধাওয়া করে আমাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
বাঘা কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) আতিকুর রহমান সরকার জানান, সোহান ইসলামের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।