ঘূর্নিঝড় বুল বুল থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নদণ্ডনদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
অন্যান্য অভ্যন্তরিন এবং দূর পাল্লার সকল রুটে নৌযান চলালচ বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলার ১০৪ টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলেদেরকে নদী থেকে উঠে আসাসহ তীরবর্তী জন সাধারন ও এসব আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ায় জন্য সতর্কবাত্রা বার্তার সাইলেনসহ মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া মোকাবেলায় সকল প্রস্তুুতি সর্ম্পন্ন করছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। গঠন করা হয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুুত রাখা হয়েছে শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়।
এ ছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ডসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে একটি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।
এ দিকে রামগতির চরগজারিয়া,বয়ারচর,চর আবদুল্লাহ ও কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট, লুধুয়া,মতিরহাট ও রায়পুরের চরকাচিয়া, চরঘাসিয়া ও কানি বগারচর সহ বিভিন্ন দূর্গম চর এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংঙ্কেত ঘোষণা করে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলায় ৫ টি কন্ট্রোলরুম খোলাসহ দুর্যোগ পরবর্তী মোকাবেলার জন্য সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয় নেওয়া দূর্গত মানুষের জন্য সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪৫০ মে.টন চাল,নগদ টাকা ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল।