দরিদ্র মানুষের যে কোন বিপদে এগিয়ে আসেন। আবার স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং সামাজিক সংগঠনেও আর্থিক অনুদান দিয়ে তৃপ্তিবোধ করেন। ব্যবহারেও নেই অহংকার। নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের ভালবাসেন এবং সম্মানও করেন। বরাবরেই মানুষের কল্যাণে ভাল কাজ করতে পছন্দ করেন। শত ব্যস্ততার পরেও দুঃখী মানুষদের সময় দেন। মানুষের বিপদে ছুটে যাওয়া যেন তাঁর এক ধরণের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হ্যাঁ, এমন ধরণের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষটি হচ্ছেন আলহাজ¦ ফখরুল আহমেদ ফয়সাল। যিনি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক এলাকায় নিজ পিতার নামে ‘মকবুল স্মৃতি সংসদের’ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানও। এই সংগঠনের ব্যানারেই তিনি বহু মানুষের কল্যাণে নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত জাতীয় নির্বাচনে ফরিদগঞ্জ থেকে বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শক্রমে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
একদিকে সর্বস্তরের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক; অন্যদিকে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার কারণে ফখরুল আহমেদ ফয়সালের গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত বেড়ে যায়। ব্যবসার কাজে দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় যাওয়া আসার মধ্যেও এলাকার মানুষের সাথে তিনি আন্তরিকতা বজায় রেখেছেন। খবর নিচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আফিফা গ্রুপের চেয়ারম্যান। দুই সন্তানের জনক এই ফয়সাল নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করেন নগরীর খুলশীতে। এছাড়াও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত। খুবেই মিষ্টি ভাষার ও শান্ত স্বভাবের অধিকারী ফয়সালের কোন অহংকার নেই। যে কোন পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে তাঁর বন্ধু মহলেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলে। এতে অধিকাংশ দলীয় কর্মীরা ফয়সালকে আগামীতে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। একজন মানুষ যতই সম্পদশালী হোক; সেই সম্পদ যদি গরীব মানুষদের কল্যাণে ব্যয় না হয় তাহলে ওই সম্পদের কোন মূল্য নেই বলে মনে করেন ফয়সাল। এজন্য ফরিদগঞ্জে দলীয় কিংবা পারিবারিক যে কোন অনুষ্ঠানে তিনি ছুটে যান। সময় ব্যয় করেন। ফরিদগঞ্জের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফয়সাল একজন মানুষকে ব্যবহার দিয়েই তাঁর মনজয় করে নিতে পারেন। আর মানুষকে ভালবাসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশাল সম্মান পাওয়া যায়-এটি ফয়সালকে অনুসরন করলেই সহজেই বুঝা যায়। ফরিদগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে অতি পরিচিত এই ফয়সাল গত দুই যুগ ধরে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন।
এজন্য তিনি স্বীকৃতি স্বরূপ বেশকিছু সম্মাননা পদকও পেয়েছেন। একইভাবে তিনি চট্টগ্রামেও সামাজিক কর্মকা-ে ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। চট্টগ্রামের জনপ্রিয় পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘আলোকিত সৌরভের’ তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এই পত্রিকার সার্বিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। মাদক, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তিনি মানুষকে সচেতন করতে সভা সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন। ফলে তাঁর সুখ্যাতিও বেড়েই চলেছে। ফখরুল আহমেদ ফয়সালের মতে, পরের দুঃখ নিয়ে যে মানুষ চিন্তা করেন; তখন তাঁর নিজের দুঃখ বলে কিছু থাকেনা। তিনি মনে করেন, যারা সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি করে তারা কখনো জনগণের আপনজন হতে পারেনা। দেশে দুর্নীতি বিরোধী চলমান অভিযান সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখবেন বলে তাঁর প্রত্যাশা। তিনি শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।