উপকূলের ১৮ লাখ মানুষের মধ্যে শনিবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এনামুর রহমান। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উত্তাল সাগর। যত সময় গড়াচ্ছে প্রবল হচ্ছে এর শক্তি। মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিকেল তিনটার পর জোয়ার শুরু হয়ে যাওয়ায় বাড়বে ঢেউয়ের তীব্রতা। সন্ধ্যা নাগাদ খুলনাসহ দক্ষিণ-পূর্বের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটির প্রভাবে ৫-৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ এটির সুন্দরবন অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সর্বশেষ প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সারাদেশে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩ লাখ মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ১৮ লাখ মানুষকে সরানোর টার্গেট রয়েছে আমাদের। যেসব এলাকায় আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে সেসব এলাকায় আমরা চাল ও অন্যান্য জিনিস পাঠিয়ে দিয়েছি।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ারও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।