আদালতের নির্দেশে ছাড়া পেল র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দ-িত হয়ে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১১ শিশু নিবাসী। যাদের বয়স ১২ বছরের নিচে। এ ছাড়া ওই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা বাকি ১২-১৮ বছরের মধ্যে ১০৯ জন শিশু নিবাসীর বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে আদেশ আসা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ১১ শিশুকে তাদের অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান বলেন, “হাই কোর্টের আদেশটি আমরা গত সোমবার হাতে পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে থাকা ১১ শিশু নিবাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি যাদের বয়স ১২-১৮ বছরের মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ৬ মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।” তাদের বিষয়ে শিশু আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে গত সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট বন্দী নিবাসীর সংখ্যা ছিল ৯৭৯ জন। এর মধ্যে এ বছরের ৩ মে থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দ-িত শিশু নিবাসী রয়েছে ১২১ জন। তাদের মধ্যে গত রোববার মুক্তি পেয়েছে একজন। বাকি ১২০ জনের মধ্যে ২৮ জনের বয়স ১৭ বছর। ১৬ বছরের আছে ২৬জন। ১৫ বছরের ২০জন, ১৪ বছরের ১৬ জন, ১২ বছরের ১১ জন। ৭ জনের বয়স ১৩ বছর। বাকি ১২ জনের বয়স ৮ থেকে ১১ বছর।
বিষয়টি গত ৩১ অক্টোবর আদালতের নজরে আনা হলে আদালত ওই দিনই শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। গত সোমবার সেই আদেশের কপি টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কের হাতে পৌঁছামাত্রই মুক্তি দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।