কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানা মন্দবাগে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুই দিন পর আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুরগামী আন্তঃনগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেসের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এঘটনা ঘটায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে ঘন ঘন ট্রেন দূর্ঘটনা কোন দিন ঘটেনি। আজ বৃহষ্প্রতিবার সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় ট্রেনের বর্গি লাইনচ্যুত হওয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করছেন কর্তাব্যক্তিরা। তারা জানান, সরকারকে প্রশ্নোবৃত্ত করতে কোন ট্রেন স্বরোযন্ত্রের স্বীকার হতে পারে। কোন একটি মহল এখাতকে ধ্বংস করতে পারে বলে মন্তব্য করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে তারা বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে ট্রেনে আগুন লাগার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, সকালে ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস। দুপুর দুইটার দিকে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনটির আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর মুহূর্তের মধ্যেই ইঞ্জিনসহ ট্রেনের ৭টি বগিতে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার পর কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। যাত্রীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টা খানেকের বেশি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়।
দুর্ঘটনায় কয়েক শ গজ রেললাইন উপড়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেনটিতে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
এদিকে গতদিন আগে মঙ্গলবার ভোররাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ এলাকায় তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়। আহত হয় অর্ধশতাধিক। আহতদের চিকিৎসা চলছে। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়ত দিবেন সরকার।