জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও থানার মাঝির বিরুদ্ধে মোস্তফা বেপারী (৪০) নামের এক দিনমজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে অর্ধলাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোস্তফা বেপারী ওই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত ফজলে করিম বেপারীর পুত্র।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোস্তফা বেপারী বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মোস্তফাকে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকী টাকা কয়েকদিন পরে ফেরত দেওয়ার শর্তে সময় নিয়েছে অভিযুক্তরা। অভিযুক্তরা এখনও মেহেন্দীগঞ্জ থানায় বহাল তবিয়তে থাকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকালে দিনমজুর মোস্তফা বেপারী সাংবাদিকদের জানান, মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই আল-আমিন ও থানার মাঝি আবদুল কাদের চলতি বছরের ৮ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে তার (মোস্তফা) বাড়িতে গিয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগ এনে পুরো ঘর তল্লাশি চালায়। পরবর্তীতে কিছু না পেয়ে তাকে (মোস্তফা) মাদকের অন্য মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভিতী প্রদর্শন করে এসআই শহিদুল ১০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মোস্তফার হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিতে চাইলে তার স্ত্রী এসআই শহিদুলের হাত-পা জড়িয়ে ধরে এক হাজার টাকা দিয়ে মোস্তফাকে ছাড়িয়ে রাখে।
তিনি আরও জানান, পরেরদিন সকালে বিষয়টি তিনি (মোস্তফা) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ক্ষুব্ধ হন এসআই শহিদুল। তারই জেরধরে দুইদিন পর (১০ জুলাই) গভীর রাতে কোন অভিযোগ ছাড়াই তাকে ঘর থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এসআই শহিদুল, এএসআই আল-আমিন ও থানার মাঝি আবদুল কাদের। পরে থানায় এনে দিনমজুর মোস্তফাকে হত্যা, চুরি-ডাকাতি ও মাদকসহ ৭/৮টি মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এসআই শহিদুল। রাতভর দর কষাকষি শেষে সকালে মোস্তফার স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযুক্তরা ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে মাতাল দেখিয়ে পুলিশ আইনের ৩৪ (৬) ধারায় মোস্তফাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আরও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে এসআই শহিদুল নিজেই আইনজীবী ঠিক করে মোস্তফার জামিন করিয়ে দেয়। এসআই শহিদুল ও তার সহযোগিদের এমন কর্মকান্ডের সঠিক বিচার দাবি করে মোস্তফা বেপারী বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।