ট্রাফিক আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের মত ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার ৯টি রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মালিক সমিতির সাথে আলাপ ছাড়াই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীন সকল রুটে বাস বন্ধ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজিবিসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। ঝালকঠি থেকে বাসে রুপালতী ৩০ টাকা ভাড়া ছিল। এখন অটোসহ অন্য যান বাহনে যেতে ৬০/৭০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। ১০০ টাকা ভাড়ার মোটর সাইকেলে এখন ভাড়া ২’শত টাকা। এদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝালকাঠি থেকে দূর পাল্লার ভাড়ায় বরিশাল নথুল্লাবাদ ১০ টাকা ভাড়ায় যেত। এখন সেখানে অটো রিক্সায় করে ৭০/৮০ টাকা খরচ হচ্ছে। স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয় ও কলেজে অনিয়মিত হয়ে পড়ার আশংক করা হচ্ছে।
রুটগুলো হল, ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে খুলনা, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ভান্ডারিয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে মঠবাড়িয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পাথরঘাটা, ঝালকাঠি-আমুয়া, বরিশাল-ঝালকাঠি ও ঝালকাঠি-ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী নতুন এ আইন সংশোধনের দাবিতে আন্দোলন অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, মালিকি সমিতির সাথে আলাপ আরোচনা ছাড়াই শ্রমিকরা নতুন আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে। গাড়ি বন্ধের সাথে মালিক সমিতির কোন যোগ সাজস নেই।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠি-মোল্লারহাট (নলছিটি), ঝালকাঠি-নবগ্রাম এবং ঝালকাঠি- কাউখালী যাত্রী সংকটের কারণে দীর্ঘ দিন (কয়েক বছর) বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।