স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও লালমনিরহাট থেকে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ যাত্রীদের অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে লালমনিরহাট-রংপুর ও লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে কোনো চলাচলা করেনি। তবে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লালমনিরহাট বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এ সুযোগে মাহিন্দ্র্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়িগুলোতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। এদিকে, লালমনিরহাট-বুড়িমারী থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় লালমনিরহাট রেল স্টেশনে যাত্রীদের তীব্র চাপ বেড়েছে। অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়েও জোর করে ট্রেনে উঠছেন। আর সকালে রাতের ঢাকাগামী কোচ বাস গুলো ছেড়ে দিলেও হাতীবান্ধায় মিনি বাস শ্রমিকরা আটক করে দিয়েছে।
ঢাকাগামী বাস চালক মাহফুজার আলম বলেন, নতুন আইন সংশোধনের পর বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ কর দেয়। আলোচনার পরও এখনো কেন বাস চলাচল শুরু হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাস মালিকরা অনুমতি দিলেই শ্রমিকরা বাস চালানো শুরু করবে। আপনারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, বাস বন্ধ রাখা হয়নি, চালকরা নিরপত্তার কারণে এবং তাদের দাবী আদায়ের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে দ্রুত এর সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধেনের দাবিতে লালমনিরহাট-রংপুরসহ ঢাকারগামী অভ্যন্তরীণ সব রুটে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এরপর একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।