প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করালেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মৃতিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করান তিনি।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, লালমনিরহাট রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সদর উপজেলার মৃতিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিয়মিত কাজে ওই মহাসড়ক হয়ে যাচ্ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় হঠাৎ তিনি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন। এরপর শ্রেনি কক্ষে চলে যান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।
শিক্ষক হিসেবে শ্রেনি কক্ষে জেলা প্রশাসককে দেখে শিক্ষার্থীরা প্রথম দিকে ভয় পেলেও পরবর্তী আনন্দদায়ক পরিবেশে উৎফুল্ল মনে পাঠাদান শ্রবন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ডিসি’র নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়।
জেলা প্রশাসকের পাঠাদানের বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, সরকারী কর্মকর্তারা বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত ভাবে হঠাৎ পরিদর্শন করলে শিক্ষার মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। জেলা প্রশাসক যে কাজ শুরু করেছেন তা অব্যহত থাকলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার মান ও পরিবেশ বৃদ্ধি পাবে। আগাম না জানিয়ে হঠাৎ বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করতে জেলা প্রশাসকসহ সরকারী কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান অভিভাবকরা।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতু মনি জানান, হঠাৎ করে ডিসি স্যার আমাদের ক্লাসে আসলে প্রথমে আমরা একটু ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু পরে স্যার যেভাবে আমাদের আনন্দ দিয়ে ক্লাস করালেন তা আমরা খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। পরবর্তীতে স্যার যেন এভাবেই আমাদের ক্লাস নেন সেজন্য তাকে আমরা অনুরোধ করেছি।
এৃতিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর জাহান বেগম বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় হঠাৎ বিদ্যালয়ের প্রবেশ করেন। শ্রেনি কক্ষে পাঠানদানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন তিনি। শেষে বিদ্যালয়ের পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষরও করেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, ওই পথে যেতে হঠাৎ বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের খোঁজ খবর নিয়েছি। ছোট সোনামনিদের সাথে কথা বলতে ভাল লাগে তাই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির ক্লাশে পাঠদান করেছি। ব্যস্থতা কম থাকলে পাঠদান করতে বিদ্যালয়ে যেতে ইচ্ছে করে। তাই সুযোগ হলেই ক্লাশে যাই। যা আগামী দিনেও বিদ্যালয় গুলোতে এভাবে পাঠদানের বিষয়টি অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।