কয়রায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের রফিক সরদারের স্ত্রী রহিমা আক্তার ওরফে মালতী। বুধবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি মোঃ শফিকুল ইসলাম সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনও মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমাকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে ক্ষতি করার পাশাপাশি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলাটি করেছে তার সকল রহস্য তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। তার স্ত্রী ২০১৩ সালে লাইগেশান হলেও সে তথ্যটি লুকাতে চাচ্ছে। আমি তার বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানোর পর সে আমার বিরুদ্ধে ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি আরও জানান, শফিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য সহকারি হলেও ঠিকমত অফিস করেনা এমনকি মাঠ পর্যায় তার যেতে দেখা যায়না। সে স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এ সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নানা দুনীর্তি অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে সে অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ার কারণে কারর তক্কা না করে দেদারছে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে সকল রহস্য উৎঘাটন হবে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারি মোঃ শফিকুল ইসলামের ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন সহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন পক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সকল অভিযোগের বিষয় মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে।