কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা। এর আগেও তার এমন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা অনাস্থা এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ইউপি সদস্যদের সাথে সমঝোতা করে অভিযোগ প্রতাহার করেন। এর কিছু দিন পর ওই চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের বেতন ভাতা সহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি দাওয়া পূরণ না করেই ফের টালবাহানা শুরু করেন এবং নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন। তাঁর এমন স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে নারী সদস্যসহ ৯ ইউপি সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ভিজিডি উপকার ভোগীদের ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের বরাদ্দ ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভাজন না করে সবার সিন্ধান্ত বাতিল করে অর্থের বিনিময়ে মন গড়া নিজের পছন্দমত তালিকা প্রণয়ন করেন কান্ট্রি প্রকল্পসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ৮ জন ইউপি সদস্যের নিকট ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন, যা বিভিন্ন সময় ইউপি সদস্যদের দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরিশোধ করেননি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ‘টি আর/ কাবিখা ’ প্রকল্পের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ১% প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা নাম মাত্র কাজ করে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও ২০১৬-১৯ সালে এডিপির উন্নয়নমূলক কর্মকা- সদস্যদের না জানিয়ে একক সিন্ধান্তে কাজ করেন। বিআরডিবি প্রকল্পের কাজ ও কৃষি সম্প্রসারণ পুর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের নামে ব্যাপক দূর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, ২০১৬-১৯ ইং পর্যন্ত ইউপি সদস্যদের সম্মানি ভাতা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এমতাবস্থায় ওই ইউপি সদস্যরা নিরুপায় হয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান নিয়মিত ইউপি কার্যালয়ে আসেন না। বেশিরভাগ সময়ই ইউপি কার্যালয় বন্ধ থাকে। সাধারণ জনগণ ইউপি কার্যালয়ে সেবা নিতে গেলে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী কামাল হোসেন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন। এছাড়াও কামাল হোসেন চেয়ারম্যানের সিল ও স্বাক্ষর অবিকল নকল করে সেবার নামে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন জানান, জরুরী কাজে ঢাকা এসেছি এ বিষয়ে পরে কথা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।