নওগাঁর সাপাহারে আতœহত্যার প্ররোচনায় স্বামীর উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খাদিজা আকতার (২২) নামের এক গৃগবধু আতœহত্যা করেছে। রবিবার দিবাগত রাত্রি ১১টার দিকে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত গৃহবধু খাদিজা ওই মোড়ের জাহাঙ্গীর হোসেন এর ছেলে মহব্বত আলীর স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কয়েক বছর পূর্বে মহব্বত আলী উপজেলার তুলশি পাড়া গ্রামে বিবাহ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরসংসার করে আসছিল। এরই মধ্যে মহব্বত আলী প্রায় দেড় বছর পূর্বে আবার পতœীতলা উপজেলার দিবর মোড়ে খাদিজা নামের অপর এক মেয়েকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে। এর পর হতে শুরু হয় তাদের সংসারে অশান্তি এক পার্যায়ে ২য় স্ত্রী খাদিজাকে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে নির্মামভাবে নির্যাতন করলে খাদিজা বাবার বাড়ী গিয়ে স্বামী মহব্বত আলীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। এর পর পুলিশ মহব্বতকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মহব্বত আলী হজতে থাকলে অনুমান দেড়মাস পূর্বে খাদিজা কোর্টে তার দায়ের করা মামলা ছোলেনামা করে স্বামী মহব্বত আলীকে কোর্ট থেকে ছাড়িয়ে এনে পুনরায় ঘর সংসার করতে থাকে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হলে স্বামী তার স্ত্রী খাদিজাকে চরমভাবে মানষিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বেরিয়ে রত্রি যাপন করতে বড় স্ত্রীর বাবার বাড়ী চলে যায়। এর পর খাদিজা সন্ধ্যায় কোন কিছু না খেয়ে তার শয়ন ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় পুত্র বধুর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার শশুর ও শাশুড়ী দরজা খোলার জন্য বৌমাকে ডাকতে থাকলে ঘর হতে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তাদের শন্দেহ হয়। এর পর রাতেই তারা স্থানীয় সাপাহার থানায় বিষয়টি অবগত করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে সিলিং ফেনের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে এবং রাতেই লাশ ও বড় স্ত্রীর বাবার বাড়ী হতে তার স্বামী মহব্বত আলীকে থানায় নিয়ে আসে। এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকর করেন এবং স্বামীর প্ররোচনায় স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় ৩০৬ধারায় একটি মামলা দায়ের করে স্ত্রী খাদিজার লাশ ময়না তদন্তে এবং স্বামী মহব্বত আলীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।