কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে শেরপুরে ধান কাটা উৎসব হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার সাপমারি গ্রামে কৃষক হাবিবুর রহমানের আমন আবাদ করা হরি ধান কেটে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে উৎসবে শস্য কর্তনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় কৃষি সচেতনতামুলক নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি, ক্যুইজ, কৌতুক ও আলোচনা। এছাড়াও ধানকাটা, মাড়াই সহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ ধানকাটা উৎসবের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ীর পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. শাহ আলম।
শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ, এটিআই অধ্যক্ষ বিলাস চন্দ্র পাল, সদর কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার করিম প্রমুখ। নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফ ইকবাল আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কৃষক-কৃষানী, জেলা পরিসংখ্যান বিভাগ, কৃষি বিভাগের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা সহ ৫ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এবং সদরের উপ-সহকারি কর্মকর্তারা এ উৎসবে অংশ নেন।
এদিকে, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও কৃষিভর্তুকি এবং সহায়তা নিশ্চিতকরণে প্রচারাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দিনব্যাপী নকলা উপজেলার গড়েরগাঁও বাইপাস মোড়ে এক কৃষক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতায়ন প্রকল্প (এমপাওয়ারিং স্মলহোল্ডার টু স্ট্রেংদেন ডেমোক্রেটিক লোকাল গর্ভান্যান্স) স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আরডিএসএ’র সহায়তায় এ কৃষক মেলার আয়োজন করে। মেলায় স্থাপিত ৮টি স্টলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ, কৃষিপণ্য উৎপাদক এসোসিয়েশন এবং কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলাদি, বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। মেলা উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বাইপাস এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় কৃষি সচেতনতামুলক আলোচনা সভা ও কৃষি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়া স্থানীয় বাউল শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।