লোমহর্ষক পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ফলে পার্বতীপুরে চার বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মীম নিহতের মামলার প্রধান অভিযুক্ত বখাটে যুবক আমজাদ হোসেন (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোর ৫টায় রংপুর শহরের মর্ডান মোড় এলাকা থেকে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পরই তাকে বিশেষ প্রহরায় পার্বতীপুর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার দুপুর ২টায় তাকে দিনাজপুরের আমলী আদালত-৫ এর বিচারক রাশেদুল আমীনের এজলাসে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
পার্বতীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মীম ধর্ষন ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, গ্রেপ্তার আমজাদ হোসেন (১৯) বিচারকের সামনে ঘটনায় জড়িত থাকার বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরে এতে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ৩০ নভেম্বর পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মধ্য ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের একমাত্র সন্তান ৪ বছরের শিশু আবিদা সুলতানা মীম নিখোঁজ হয়। পরে মাইকিং করে ও বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির একপর্যায়ে আমজাদ হোসেনের বাড়ীর একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে নিহত শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় শনিবার ৩০ নভেম্বর রাত ১১টায় নিহত মীমের বাবা আরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষক আমজাদ হোসেন, চাচা শাহিনুর আলম ও দাদী মমিনা বেওয়াসহ তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা ও ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। ওই রাত থেকেই অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন পলাতক ছিল।
পার্বতীপুর মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, মীম হত্যা ও ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এ মামলার তদন্ত কাজে কয়েক ধাপ অগ্রগতি ও গতিশীল হওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে।