কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দক্ষিণ রাধাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একলক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। চলতি বছরের জুন মাসে বরাদ্ধের টাকা উত্তোলন করা হলেও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি এবং কৌশলে অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠে ৮ হাজার ৫শত টাকা দিয়ে ঘড়ি ক্রয় দেখালেও বাস্তবে একটি ঘড়ি ক্রয় করে বাকি টাকার আত্মসাতের। এছাড়াও পুরাতন বুক সেলফ দেখিয়ে পুরো টাকা আত্মসাতের। আর এই সক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায়। সংবাদটি প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। দৌড়ঝাপ শুরু করেন প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য।
অবশেষে কৌশল অবলম্বন করেন এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তড়িঘড়ি করে ৪টি ক্লাস রুমে ঘড়ি লাগিয়ে নেন গত রোববার সেই সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থীকে এ ব্যাপারে চুপ থাকারও নির্দেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকারী শিক্ষকরা জানান বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ হওয়ার পর গত রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান স্যার ৪টি ঘড়ি আনেন এবং তা লাগানো হয় ক্লাস রুমে।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ থাকলেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের শিখে দেয়া ঘড়ি ২মাস আগে লাগানো হয়েছে বললেও বেশ কিছু শিক্ষার্থী জানান, ঘড়ি গত রবিবারে লাগানো হয়েছে কিন্তু আমারা বললাম এই কথা স্যার জানলে আমাদের মারবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক ঘড়ি ক্রয় উপজেলা অঙ্গনা স্টোরের ভাউচার দেখালেও তা ভুয়া বলে দাবি করেন অঙ্গনা স্টোরের মালিক। শুধু তাই নয় খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে বুক সেলফ ক্রয় এর ভাউচারটিও ভুয়া তৈরি করে তা উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক অনুমোদন নেন কৌশলে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ভুয়া ভাউচার নিজে তৈরি করে বেশির ভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।
এব্যপারে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন ভাই আপনারা তো সব জানেন, আমরাও তো মানুষ যা হক আর লেখালেখি করিয়েন না পড়ে বসে কথা বলল।