নওগাঁর ধামইরহাটে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন জখম হয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের ৫ জন রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন, জমির মালিকানা দাবীকারী রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৬ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে ধানের বীজ জাঁক দেওয়াকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় দেবীপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার ভাতিজার সাথে প্রতিপক্ষ সাইজুদ্দিন গংদের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে লাঠি-সোডা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আবু বক্কর, জিয়াউর রহমান গুরুত্বর জখম হন এবং ইয়াকুব আলী, আ. হামিদ ও বাদী আইয়ুব আলী জখম হলে স্থানীয় ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্কর ও জিয়াউর রহমানকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আবু বক্করের ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় সাইজুদ্দিনকে ১নং আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নংÑ০৬, তারিখ- ০৬/১২/১৯ ইং। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মহসিন আলী রাতেই সাইজুদ্দিনের স্ত্রী আফরোজা বুলু (৪৪) ও মেয়ে শাহানাজ বেগম (১৯)কে আটক করে ৭ ডিসেম্বর কোর্টে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সাইজুদ্দিন ও আ. রশিদ জানান, জমির মুল মালিক আ. হামিদের নিকট থেকে মজিদা বেগম ও তার মেয়ে শরিফন জমি ক্রয় করলে, তাদের কাছ থেকে আব্বাস আলী ও আব্বাস আলীর নিকট থেকে সাইজুদ্দিন গং সাড়ে ৫৮ শতক জমিটি ক্রয় করে ২০০০ সালে। আ. হামিদ মজিদা ও শরিফনের দলিল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করলে সাইজুদ্দিন পক্ষে রায় হয়। তারা আরও জানান, আইয়ুব আলী ও তার লোকজনের মারপিটে আতিয়ার রহমান, আনোয়ার হোসেন ও সাইজুদ্দিন রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি আছেন ও সারোয়ার হোসেন, সামুদ্দিন ও রাবেয়া বেগম পতœীতলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তবে তারাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।
ধামইরহাট থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারি হওয়ায় অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে, থানা পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে, বাকীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনগত শাস্তি প্রদান করা হবে।