জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ ওঠে নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান এর বিরুদ্ধে। শতভাগ কাজ বাস্তবায়নের দাবি করেছেন সকল ইউপি সদস্য প্রকল্প সভাপতিগণ। শনিবার ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁরা এ দাবি জানান।
অভিযোগে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার উন্নয়নে পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্প অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে মানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে শনিবার দুপুরে ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে প্রকল্প সভাপতিগণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে তাঁরা দাবি করেন,প্রকল্প গ্রহণ করার পর নানা জটিলতায় বিলম্ব হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অথচ এলাকার একটি কুচক্রী মহল প্রকৃত সত্য আড়াল করে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘মুনঝার পাকা রাস্তার পাশে ড্রেন সংস্কার’ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপন, শিশু পার্কে খেলাধুলার রাইড স্থাপন, জনসচেতনতা মূলক একাধিক সেমিনার,বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন বক্স বিতরণ উল্লেখযোগ্য।
এ সময় প্রকল্প সভাপতি তুলশীগঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুর বানু,মামুদপুর ইউপি সদস্য মিলন মন্ডল ও সোহরাব হোসেন,আলমপুর ইউপি সদস্য ওমর আলী ও রেজাউল ইসলাম সহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।