নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে শিরিন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মহিন উদ্দিন (৩৮) এর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে মহিন পলাতক রয়েছে।
শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিরিন আক্তার পালপাড়া গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর পূর্বে মহিনের সাথে শিরিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। মহিনের বাবা মা বিয়ে মেনে না নেওয়ায় শিরিন বিয়ের পর থেকে তার বাবার বাড়ীতে থাকতো। গত কয়েক মাস ধরে একাধিকবার মহিনদের বাড়ী সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামে বাড়ীতে গেলে মহিনের বাবা-মা তাদের মারধর করে বের করে দিতো। এর সূত্র ধরে শুক্রবার বিকেলে মহিন ও শিরিন পুনঃরায় ধন্যপুর গেলে মহিনের বাবা সামছুল হকসহ পরিবারের লোকজন তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মহিনদের বাড়ী থেকে আসার পর রাত ৯টার দিকে মহিন ও শিরিন তাদের ঘরের ছাদে যায়। কিছুক্ষণ পর মহিন শিরিনের বাবা দ্বীন মোহাম্মদের মোবাইলে কল দিয়ে জানায় শিরিন ছাদের উপর ছটফট করে মরে যাচ্ছে। পরে তারা ছাদে গিয়ে অচেতন অবস্থায় শিরিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাদে শিরিনকে একা পেয়ে মহিন জোর পূর্বক ইদুরের বিষ শিরিনের মুখে দিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিরিনের স্বামী তার মুখে ইদুরের বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করেছে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে মহিন পলাতক থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।