নওগাঁর সাপাহার উপজেলার খন্জনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনের মার্কেটে পিছনে ডেকে নিয়ে গিয়ে রুবেল(২২) ও শহিদ(২৩) নামের দুই যুবককে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে উপজেলার রামরামপুর জশাইপাড়া গ্রামের শরিফুল আলমের ছেলে রুবেল হোসেন এর সাথে প্রতিবেশী আব্দুস সালামরে পারিবারিক কারনে বেশ কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খন্জনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত রাহাদুলের চায়ের দোকান থেকে প্রতিপক্ষের আব্দুস সালামের ছেলে কলেজ ছাত্র পরোয়ার হোসেন (২২) কথা আছে বলে কৌশলে রুবেল কে মার্কেটের পিছনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পুর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রাজশাহী হতে নিয়ে আসা অজ্ঞাত দুই যুবক সহ পিতা পুত্র মিলে যুবক রুবেল কে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে গামছা চেপে ধরে ও এলোপাতাড়ী ভাবে ধারালো চাকু দিয়ে পেট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় রুবেলের আত্মচিৎকার শুনে একই গ্রামের সবদুলের পুত্র শহিদ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে সন্ত্রাসীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও একই ভাবে ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রুবেল ও শহিদ কে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ ঘটনায় আহত রুবেলের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত কলেজ ছাত্র পরোয়ার ও তার পিতা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে। এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে অভিযোগ পত্র পেয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ।