পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহন বাসের ধাক্কায় মুক্তিযোদ্ধাসহ তিন ইজিবাইক আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর ৬টা মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের মুসল্লীবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও দুই জন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
নিহতরা হলেন, মঠবাড়িয়ার দেবীপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর হাওলাদার(৬৫), একই গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে ইজিবাইক চালক মো. বেলায়েত হোসেন(৪০) ও অজ্ঞাত এক যাত্রী (২৭)।
এসময় নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গোলাম হোসেন বাচ্চু(৩৬) ও সাইফুল ইসলাম(৩৪) নামে আরও দুইজন ইজিবাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘাতক পরিবহন বাসের চালক ও হেলপার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ও গ্রামবাসি মিলে ঘটনাস্থল হতে অজ্ঞাত ইজিবাইক আরোহীর লাশ উদ্ধার করে। বাকি আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘাতক বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসি জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহন ( ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪৭৩-২২) বাসটি রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী মহাসড়কের মুসল্লীবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এ সময় ৫জন আরোহী নিয়ে ইজিবাইকটি সড়কের পার্শ্ববর্তী ডোবায় ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত এক যাত্রী নিহত হন। গ্রামবাসি ছুটে এসে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ঘটনাস্থল হতে পুলিশ নিহত একজনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইজিবাইক আরোহী প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর হাওলাদার ও ইজিবাইক চালক বেলায়েত হোসেনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া অপর আহত দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে অজ্ঞাত এক ইজিবাইক আরোহীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় উদঘাটন করা যায়নি। অপর আহত দুই যাত্রী হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহত পরিবারের স্বজনদের পক্ষ হতে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।