বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসি বাস সীমিত চলাচলের দাবীতে ও শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ থেকে সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ।
একাধিক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতারা জানায়, ময়মনসিংহ বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে এ অঞ্চলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কে বাস সার্ভিস চালু করে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ । সম্প্রতি তারা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কেও বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করে। এতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা আপত্তি জানায়। গত তিন দিনেও বিআরটিসি বাস বন্ধ করায় অন্য বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ দেখা দেয়। যার ফলে আজ সোমবার (৯ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটা থেকে শহরের মাসকান্দা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী এবং পাটগুদাম বাস টার্মিনাল থেকে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নেত্রকোনাসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। কোনো ঘোষনা ছাড়াই হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ। বেশি দূর্ভোগে পড়ে দুরদুরান্তের যাত্রী ও অসুস্থ মানুষ।
মাসকান্দা বাস টার্মিনালের বাস চালক ফারুক জানান, পরিবহণ মালিকদের সিদ্ধান্তেই আমরা বাস চালাচল বন্ধ রেখেছি।
পাটগুদাম বাস টার্মিনালের শ্যামলছায়া পরিবহনের টিকিট মাষ্টার মোবারক হোসেন জানান, পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতারা শুরু থেকে বিআরটিসি বাস সার্ভিস বন্ধের দাবী জানিয়ে আসছিল।র্দীঘ দিনেও বিআরটিসি বাস সার্ভিস বন্ধ করায় অন্য বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ দেখা দেয়।
ঢাকাগামী যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য স্ত্রী সন্তান নিয়ে ময়মনসিংহে বেড়াতে এসেছিলাম। বিকালে মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি কোনো বাস ছাড়ছেনা। এখন কিভাবে যাব বুঝতে পারছিনা।
এব্যাপারে জেলা মটর মালিক সমিতির সম্পাদক (কোচ বিভাগ) সোমনাথ সাহা বলেন, আমরা ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়কে আলোচনার ভিত্তিতে সীমিত আকারে বিআরটিসি বাস চালুর দাবী জানিয়ে আসছিলাম। সম্প্রতি তারা নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন সড়কে আরো বেশি আকারে বাস চালু করেছে।এ নিয়ে গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আমাদের শ্রমিককে বিআরটিসির চালক ও শ্রমিকারা মারধর করে। পরে আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহের বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে আজ বিকাল থেকে দুরপাল্লাসহ সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। আমাদের দাবী বিআরটিসি বাস বন্ধ না, সীমিত আকারে চলাচল।