নাগেশ্বরীতে একটি বিদ্যালয়ে ২২টি মৌচাক থাকায় আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাথীসহ স্থানীয়রা। উপজেলার উত্তর কচাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২টি মৌচাকে বসবাস করছে অজ¯্র মৌমাছি। মাঝে মাঝেই তা হুল ফোটায় মানুষের শরীরে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাদেরকেও একই অবস্থার শিকার হতে হচ্ছে। আতঙ্কিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভরে স্কুল যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের স্কুলে ২শ ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয় সংলগ্ন বিস্তৃত মাঠ জুরে সরিষা ক্ষেতে হলদে রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে গেছে চারপাশ। প্রকৃতির অপরূপ বৈচিত্র্য যেনো ঘিরে রেখেছে পুরো বিদ্যালয়। সেখানে নেচে নেচে মধু সংগ্রহ করে বিদ্যালয় ভবণের তিনদিকে কার্ণিশে ও সিড়িতে ২২টি চাকে বাস করছে অসংখ্য মৌমাছি। পাশ দিয়ে পাখি উড়ে গেলে অথবা হালকা বাতাস লেই তারা ভনভনিয়ে উড়তে থাকে দিগি¦দিক। হুল ফোটায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গায়ে। মৌমাছির আক্রমন থেকে বাঁচতে দরজা জানালা বন্ধ করে নেয়া হচ্ছে বাৎসরিক পরীক্ষা।
সহকারী শিক্ষিকা খুশি রাণী সাহা জানান, ৭ ডিসেম্বর শনিবার একটু বাতাসে বেশকিছু মৌমাছি উড়ে এসে তাকে ও আর একজন সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আক্রমন করে। হুল ফোটায় তাদের মুখ ও শরীরে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৪র্থ শ্রেণির সুমাইয়া খাতুন, জয়নব খাতুন, মনির হোসেন, দ্বিতীয় শ্রেনীর বিউটি খাতুনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোহিনুর খাতুন বলেন, প্রথমাবস্তায় ধোয়ার সাহায্যে মৌমাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলা হলেও পাখি বা অন্যকোনভাবে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হলেই আক্রমন চালায়। এবারও তেমন হয়েছে। বাধ্য হয়ে খরকুটো জ্বালিয়ে ধোয়া সৃষ্টি করে দরজা জ্বানালা বন্ধ করে অন্ধকার কক্ষে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।