কয়েকদফা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেও অনুষ্ঠিত হয়নি উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা নাটকীয়তা। এ উপজেলায় একাধিকবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হলেও পরে তা স্থগিত হয়ে যায়।
জানা গেছে, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মিদের বাদ দিয়ে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে প্রবেশ ও পদ বাণিজ্যের অভিযোগে গত ৪ নভেম্বরের উপজেলা সম্মেলন স্থগিত করেন কেন্দ্রিয় কমিটি। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর, ৩, ৮ ও ১০ ডিসেম্বরে তারিখ ঘোষনা করেও সম্মেলন করতে পারেনি নেতৃবৃন্দ। তবে সম্মেলন নিয়ে ধোয়াশা কাটছেনা নেতাকর্মিদের ।
দলীয়সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রের নির্দেশ পাওয়ার পর এ উপজেলায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাউন্সিল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই কাউন্সিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রভাব বিস্তারে কমিটি গঠনে বির্তকের সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃনমুল নেতা-কর্মিরা অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত রোববার (০১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিনকে টেলিফোনে কাউন্সিল স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর ৮ ও ১০ ডিসেম্বরে তারিখ ঘোষনা করে সম্মেলনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নিলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি ওর্য়াডের কাউন্সিল পরিকল্পিতভাবে স্থগিত রাখা হয়। পূর্বের কমিটি ও মনোনীত প্রার্থীর ৯ জনের মধ্যে ৭জনের অনুপস্থিতিতে এবং ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিলদের তালিকা প্রকাশ না করেই ২২ নভেম্বর অ-গঠনতান্ত্রিক ভাবে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতাকর্মি কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।
এদিকে, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে কাউন্সিল ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি ও সম্পাদক পদে ভোট গ্রহন শুরু হয়। সেখানে সভাপতি পদে ৬জন ও সম্পাদক পদে চারজন অংশগ্রহন করেন। ভোট শেষে ফলাফল ঘোষনার জন্য নেতা-কর্মীরা চাপ সৃষ্টি করলেও নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভোট গননা না করে সেখান থেকে উপজেলা সদরে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেন।
এছাড়াও দলদলিয়া, থেতরাই, পান্ডুল, ধামশ্রেনীসহ অধিকাংশ ইউনিয়ন ও একাধিক ওয়ার্ডে নিজেদের বলয় তৈরি করার জন্য পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, আজ (বুধবার) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলায় আসবেন, এসে সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করবেন। তবে একাধিকবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করেও সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওগুলো সঠিক নয়।