আসামি ও পুলিশের সাথে পাল্টাপাল্টি গুলিতে ধর্ষণ শেষে ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি ইয়াসিন সেক নিহত হয়েছে। এ ঘটনা আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য।
রোববার মধ্যরাতে শহরের লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সে শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি সেকের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামীর ছবি সংগ্রহ করে আসামী ইয়াছিনকে চিহৃত করা হয়। এরপর জনগনের সহয়তায় তাকে আটক করা হয়। গতরাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে আসামী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। আর এসময় নিহত হয় আসামী ইয়াছিন। আর এসময় আহত হয় দুই পুলিশ সদস্য।
পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের শহরের বহুল আলোচিত প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেল বেলা রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আর এ ঘটনার পর ফাতেমা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয় শহরে। ঘটনার তিন দিনের মাথায় নিহত হলো ধর্ষণ শেষে হত্যার সাথে জড়িত আসামী ইয়াছিন সেক।