খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যম জনগনকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে উজ্জীবিত করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ররহমানের উদাত্ত আহবানে মুক্তিযুদ্ধের গান, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা, গণসংগীতের মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা আপামর জনগনকে অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলেই আমাদের স্বাধীনতা তরান্বিত হয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় নওগাঁয় ২০১৮ ও ২০১৯ সালের জেলা শিল্পকলা একাডেমী সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন দেশে সাংস্কৃতির চর্চ্চা কমে যাওয়ার ফলে জঙ্গিবাদ মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। সাংস্কৃতির সুস্থ্য ধারা কমে যাওয়ার ফলে দেশে অপসাংস্কৃতির চর্চ্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই জঙ্গিবাদ ও অপসাংস্কৃতি দুর করতে সাংস্কৃতির চর্চ্চা সম্প্রসারিত করতে হবে। বর্তমান সরকার দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, মাদক থেকে জাদিকে মুক্ত করতে সারা দেশে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে ব্যপক উদ্যোগ গ্রহন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে সারা দিয়ে তিনি দেশের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুস্থ্য ধারার সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৪ গুণী ব্যক্তি ও ১টি সৃজনশীল সাংস্কৃতিক নংগঠন এবং ২০১৯ সালের অনুরুপ ৪ গুণী ব্যক্তি ও ১টি সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। একে একে এসব গুণী ব্যক্তি ও সংগঠনকে ফুলের শুভেচ্ছা, উত্তরীয়, সন্মাননা স্মারক ও সন্মানীর চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি। প্রত্যেক ব্যক্তি ও সংগঠনকে ১০ হাজার টাকার একটি করে চেক প্রদান করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে সন্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহ হচ্ছে ২০১৮ সালের জন্য নাট্যকলায় এস এম জহুরুল ইসলাম ইদুল, লোক-সংস্কৃতিতে স্বপন চন্দ্র বর্মন, যন্ত্রশিল্পে অখিল চন্দ্র সূত্রধর, কন্ঠ সংগীতে অরুপ কুমার দাস ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ এবং ২০১৯ সালের জন্য নাট্যকলায় মোঃ জাহাঙ্গীর ইসলাম বুলবুল, সংস্কৃতি গবেষক হিসেবে মো. খোসবর আলী, যন্ত্রশিল্পে আলাউদ্দিন আলী মোল্লা মিজান, কন্ঠসংগীতে মোঃ হাবিবুর রহমান ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আবৃত্তি পরিষদ নওগাঁ । পরে এ উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।