নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজী (১০) সাথে নিয়ে পিতার খোঁজে মোহনপুরে আসেন চাচা ইসলাম কাজী ও ফুফু মুক্তা বেগম। পিতাকে খোঁজে পাওয়ার পরেও পিতার কাছে ঠাঁই হলো না প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীর। দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন পিতা আশরাফুল কাজী। অবশেষে মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদের হস্তক্ষেপে প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীর ঠাঁই হলো সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেফহোমে। ওই প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজী নওগাঁ জেলার অত্রাই পাইকড়া গ্রামে আশরাফুল কাজীর ছেলে।
প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীর চাচা ইসলাম কাজী ও ফুফু মক্তা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সিহাব কাজী জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধি। জন্মের ২ বছর পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পিতা আশরাফুল কাজীও কিছু দিনপর দ্বিতীয় বিয়ে করে এলাকা ছেড়ে চলে আসেন। পিতা-মাতা কেউ খোঁজখবর নিতেন না প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীর। ওই সময় থেকে প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীকে দেখাশুনা করতেন তার বড় মা মেহেরজান বেগম। বর্তমানে মেহেরজান বেগম অনেক অসুস্থ্য। প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীকে দেখাশুনার জন্য তেমন কেউ নেই। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীর পিতা আশরাফুল কাজী মোহনপুর উপজেলার তেতুলতলা যমুনা জুট মিলে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। গত শনিবার সন্ধার সময় চাচা ইসলাম কাজী ও ফুফু মুক্তা বেগম ভাতিজা প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীকে সাথে নিয়ে পিতার কাছে আসেন। সারা-রাত থাকার পরদিন সকালে পিতা আশরাফুল কাজী প্রতিবন্ধি ছেলে সিহাব কাজীর দাযিত্ব নিতে অস্বীকার করেন। গতকাল রোববার সকালে তারা প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীকে নিয়ে মোহনপুর থানায় নিয়ে আসা মাত্রই ওসি মোস্তাক আহম্মেদ নিজেই প্রতিবন্ধি শিশু সিহাব কাজীর হাতে তুলে নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে রেখে তার পিতা ফোন দেন।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীর পিতা থানায় না আসায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে প্রতিবন্ধি সিহাব কাজীকে সমাজসেবা অধিদপ্তের মাধ্যমে সেফহোমে হস্তান্তর করা হয়েছে।