কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বৃহস্পতিবার ৪ টি ইউনিয়নে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের জন্য দ্বিতীয় দফায় লটারী করতে গিয়ে কৃষকদের হট্টগোলের কারণে স্থগিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে প্রথমে চাকিরপশার ইউপির কৃষক নির্বাচন করার জন্য লটারী মোবাইল ফোন অ্যাপসের মাধ্যমে শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ওই ইউনিয়নের ৩ টি ব্লকে প্রাপ্ত কৃষক মোট ৫০০০ জনের মধ্যে ৩২৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এরপর অ্যাপসের মাধ্যমে রাজারহাট ইউপির ৩টি ব্লকের ৭৫৯৩ জন কৃষকের মধ্যে ৩৯৩ জন নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও ৩ টি ব্লকের মধ্যে মেকুরটারী ১৫৮ জন ও সদাগড় ব্লকে ১০৫ জনের লটারী সম্পন্ন হলেও তৃতীয় ব্লকে পুনকর শুরু করার পূর্ব মুহুর্তে মোবাইল অ্যাপসে লটারী করা নিয়ে কয়েকজন কৃষক আপত্তি তুলে হট্রগোল শুরু করলে ওই সময় ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও ছিনাই ইউপির লটারী স্থগিত করে দেন সংশ্লিষ্টরা। লটারীর সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা: যোবায়ের হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) নুর মোহাম্মদ, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবদুল আউয়ালসহ কৃষকগণ। উল্লেখ্য রাজারহাট উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ৩০১৫৭ জন কৃষককে নির্বাচিত করেন কৃষি বিভাগ। এর মধ্য থেকে ২১০৬ জন কৃষক জনপ্রতি ৬০০ কেজি করে ধান খাদ্য গুদামে প্রতি মণ ১০৪০ দরে বিক্রি করতে পারবেন কৃষকগণ। এরই ফল শ্রুতিতে ৭ টি ইউনিয়নে মধ্যে ইতঃপূর্বে ৩ টি ইউনিয়নের লটারী সম্পন্ন করে ২৬ ডিসেম্বর/১৯ ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। কিন্তু গত লটারীতে উমর মজিদ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজার ভূয়া কৃষকের নাম আসার অভিযোগ উঠে। একারণে ২ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের লটারী নিয়েও আপত্তি তোলেন উপস্থিত কৃষকরা। এ ছাড়া ৪ টি ইউনিয়নের ৭৯০ মে.টন ধানের বিপরীতে ১৩১৬ জন কৃষক ধান দিতে পারবেন। এ ৪ টি ইউনিয়নের লটারী বৃহস্পতিবার সম্পন্ন করার কথা থাকলেও চাকিরপশার ইউনিয়নের লটারী সম্পন্ন হয়। কিন্তু রাজারহাট ইউনিয়নের ৩ টি ব্লকের ২ টি সম্পন্ন হলেও ওই ইউনিয়নেরর ১ টি ব্লকসহ অপর ২ টি ইউনিয়নের লটারী স্থগিত করা হয়।
এবারে সরকারিভাবে এ উপজেলায় মোট ১২৬৪ মে.টন ধান ক্রয় করার বরাদ্দ পেয়েছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। ২ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সরকারিভাবে ধান ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা: যোবায়ের হোসেন বলেন, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লটারী সঠিকভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়ে কারও কোন জানার থাকলে আমার কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন।