কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারনে বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক বীজ তলা হলুদ বর্ণ ধারন করায় কৃষকদের আশংকা চলতি মৌসুমে বোরো ধান বীজের সংকট দেখা দিতে পারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছেন, শীত থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার ও রাতে সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে উফসী জাতের ৯শত ৫০ হেক্টর, হাইব্রিড ৩ শত হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১৫ হেক্টরসহ ১ হাজার ২ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এসব বীজতলার চারা দিয়ে উফসী ১৪ হাজার ৭শত২৭ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ৪শত ৭৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ শত ৮ হেক্টরসহ ২০ হাজার ৩ শত ১১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক কৃষক তাদের বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম গ্রামের কৃষক সুফিয়ান জানান, আমরা ৪ ভাই মিলে একই জমিতে বীজ তলা তৈরি করেছি। কিন্তু টানা শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারনে বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারন করে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওই এলাকার কৃষক আঃ হাই জানান, আমার ২ একর জমির জন্য বীজতলা তৈরি করেছি, কিন্তু বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারন করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে চারা রোপন করা নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারনে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে শতাংশ প্রতি ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৩০০ গ্রাম জীবসাম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চলতি মৌসুমে বোরো ধান বীজ চারার কোন সংকটের আশংকা নেই।