দেশের উত্তরাঞ্চের জেলা কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফায় শৈতপ্রবাহ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহসহ কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
চলতি মাসেই কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে বিগত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় বাড়ছে তীব্র শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশার কারণে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও ছোট-বড় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা নামতে শুরু করায় চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্নবিত্ত মানুষেরা। সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম চলমান থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় জানান, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান করায় কুড়িগ্রাম অঞ্চলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার জেলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নেমেছে। জানুয়ারিতে প্রথম দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যা আরও ৩-৪ দিন অব্যাহত থাকবে। এমাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ আসবে এবং চলতি মাসেই তামমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।