সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাগবাড়িয়া এলাকায় মুনলাইট প্লাষ্টিক ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির দুষিত বর্জ্য পানিতে স্থানীয় কৃষকের আবাদ করা প্রায় একশ বিঘা জমির ইরি ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই কোম্পানির ফেলা পানিতে আবাদ করা ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠে। স্থানীয় এক আওয়ামীলীগের নামধারী নেতা মনির হোসেনের প্রভাবে এ পানি ফসলী জমিতে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। কোম্পানির দুষিত পানি ফসলী জমিতে ফেলা বন্ধ করার জন্য কৃষকেরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাগবাড়িয়া মসজিদ এলাকায় গত আড়াই বছর পূর্বে মুনলাইট প্লাষ্টিক ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি গড়ে ওঠে। এ কোম্পানি তৈরীর পর থেকেই তাদের প্লাষ্টিক সামগ্রী তৈরির বর্জ্যের পানি পাশ^বর্তী কৃষকদের ফসলী জমিতে ফেলা হচ্ছে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
বাগবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রতন মিয়া জানান, গত দুই বছর ধরে আমাদের জমিতে ফসল ফলাতে পারছি না। আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেনের প্রভাবে কারখানার মালিক আমাদের জমিতে সারা বছর পানি ফেলছে। মনির এ মিল দেখাশোনা করে। গত বছরও আমার জমিতে পানি ফেলে ফসলের ক্ষতি করে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমার ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। ক্ষতিপূরনের কথা বলে কোন টাকাই আমাদের দেয়নি।
তালতলা এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, প্লাষ্টিক কারখানা গড়ে উঠার পর থেকে আমাদের জমিতে কোন ফসল হয় না। প্লাষ্টিক কারখানার পানি জমিতে দীর্ঘ সময় থাকায় আমাদের রোপন করা ইরি ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কোম্পানির পানি ফসলী জমিতে ফেলা বন্ধে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।
কৃষক শওকত আলী জানান, মুনলাইট প্লাষ্টিক কোম্পানি অন্য একটি কোম্পারি সাথে আঁতাত করে ফসলী জমি নষ্ট করে আবাদ বন্ধ করছে। যাতে আমরা অনাবাদী জমি ওই কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হই।
মুনলাইট প্লাষ্টিক ইন্ড্রাট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ তারেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। বিষয়টি আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন দেখবাল করেন। তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানার অনুরোধ করেন তিনি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন বলেন, কোম্পানির পানি জমিতে গিয়ে ফসল নষ্ট হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতিপূরন দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো দেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই এলাকা পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।