বগুড়ায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে ৩ বছরের এক শিশুর ডান হাত পঙ্গু হয়ে যাবার অভিযোগে বগুড়ার ৪চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এঘটনায় বগুড়ার সরকারী শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল্লাহ আল মূতী (সূবর্ণ)সহ চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ওই শিশুটিরর মা ফজিলাতুন্নেছা ফৌজিয়া বাদী হয়ে জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সুপ্রিয়া রহমান অভিযুক্ত চার চিকিৎসকদের আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন ইস্যু করেছেন।
অভিযুক্ত অন্যান্য সহযোগী চিকিৎসরা হলেন, শহরের কলোনি এলাকার হেলথ সিটি হসপিটাল এর ডা. মো: লিমন, ডা. মো: রেজওয়ান এবং ডা. মোছা: সাবিহা।
বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার মো: মোমিনুর রহমানের স্ত্রী ফৌজিয়া মামলার অভিযোগে উরেøখ করেছেন যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ তার তিন বছরের পুত্র সন্তান ফাহিম মুবাশশিরের পড়ে গিয়ে ডান হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙ্গে যায়।
প্রথমে ওই শিশুটিকে ডা. মহিউদ্দিন আসলামকে দেখালে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। পরে বাদী ফৌজিয়া তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন পঙ্গু হাসপাতালের ডা. মো: আব্দুল্লাহ আল মূতী (সূবর্ণ) বগুড়া পপুলার ডায়গনোস্টিক সেন্টারে রোগি দেখেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ বাদী তার পুত্র সন্তানকে ডা. মো: আব্দুল্লাহ আল মূতী (সূবর্ণ) কে দেখালে তিনি ভিকটিম ফাহিম এর ভেঙ্গে যাওয়া হাড় ও রগের এক সঙ্গে অপারেশন করে ভাল করে দেবেন বলে আশ^াস দেন।
সরল বিশ^াসে বাদী তার পুত্রের অপারেশন উক্ত চিকিৎসকের নিকট করান। অপারেশনের সময় উক্ত চিকিৎসক ও তার সহযোগী চিকিৎসগণ দায়িত্ব কর্তব্যে অবহেলা করে ভিকটিম এর ডান হাতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালী কেটে ফেলার কারণে বাদীর শিশু পুত্রের হাতের অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
বর্তমানে তা আরও গুরুতর হয়ে হাতটি পঙ্গু হয়ে যায়। বাদী অভিযোগ করেন আসামী চিকিৎসকগণ তার পুত্রের ডান হাত পঙ্গু হওয়ার জন্য দায়ী। আসামীগনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য বাদী মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানান। আদালতে মামলা হয়েছে এ খবর পেয়ে ডা. মো: আব্দুল্লাহ আল মূতী (সূবর্ণ) উক্ত মামলার সাক্ষী বায়েজিদ রহমান শাহিনকে পুলিশ দিয়ে আটক করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ডা. মো: আব্দুল্লাহ আল মূতী (সূবর্ণ) তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।