বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের কার্যক্রম চালানোর জন্য ময়দানের দায়িত্ব বুঝে পেলেন মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী অনুসারীরা। সোমবার রাতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কর্তৃপক্ষের কাছে ময়দানের মাইক, লাইট, সামিয়ানার চটসহ যাবতীয় মালামাল বুঝিয়ে দেন শূরায়ী নেজামের মুরুব্বিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মো. শাহিনুর ইসলাম, সদস্য সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এসএম সোহরাব হোসেন ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার
মো. আবু হানিফ, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হক, শূরায়ী নেজামের মুরুব্বি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন, প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান, আবুল হাসনাত। এদিকে সা’দ অনুসারিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ, আতাউল্লাহ জামান, হারুন অর রশিদ, হাজি মনির হোসেন প্রমুখ। এদিকে গতকাল ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, কামারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ২নং টয়লেটের পাশের সড়ক ও জনপদের স্যুয়ারেজ লাইন বন্ধ হয়ে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি বয়ান মঞ্চের
আশপাশসহ বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মনুষ্য নির্গত বর্জ্য ও বিভিন্ন কারখানার ময়লা মিশ্রিত পানির উৎকট গন্ধে ময়দানে চলাচল দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে।
দ্বিতীয় পর্বের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করা হলে আগত মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগের সম্মূখীন হবেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিটির পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে প্রায় তিন’শ শ্রমিক কাজ করছে। তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রথম পর্বের মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ১৬টনের ১০টি গার্বেজ ট্রাক, ৪ টনের ১৪টি, পে-লোডার ৬টি ও ২টি ভেকু ময়লা অপসারণে কাজ করছে। আশাকরি দুইএক দিনের মধ্যে ইজতেমা ময়দানের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার হবে এবং মুসল্লিরা নির্বিঘেœ ময়দানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবেন।
উল্লেখ্য, আগামি ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর মুরুব্বিদের বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা।