নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, পূজার জায়গায় পূজা আর নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন চলবে। তাছাড়া একই দিনে পূজা ও ভোট হলে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের এ বিষয়ে নতুন করে বক্তব্য নেই। কারণ নির্বাচন কমিশন আইন, সরস্বতী পূজা, এসএসসি পরীক্ষা, সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিনেই নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্য তারিখে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন নির্বাচন কেন পেছানো সম্ভব নয়, তা ব্যাখ্যা করেছেন। তারা হয়তো সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তারা আদালতে গিয়েছেন। আদালত উভয়পক্ষের কথা শুনে বিবেচনা করে দেখেছেন যে, ৩০ জানুয়ারি সর্বোত্তম দিন। তারা কনভিন্সড (রাজি)। তাই ৩০ জানুয়ারি ভোট করতে কোনো বাধা নেই।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হবে- এটা কেন বলেছেন তা আমাদের বোধগম্য হয়নি। তাছাড়া যারা ধার্মিক তারাও জানেন, আইন-শৃঙ্খলা মানতে হয়। সবাই সচেতন নাগরিক। নির্বাচন জমে উঠেছে। সবাই নির্বাচনমুখী। নির্বাচন ও পূজা নিয়ে তো পক্ষ-বিপক্ষের কিছু নেই। আমরা অনাকাঙ্খিত ঘটনা আশা করি না। এরপরও তারা আদালতে গেছেন। যে রায় এসেছে তারাও নিশ্চয় তা মাথা পেতে নেবেন। তাছাড়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনও দূর্গাপূজার সময় ছিল। সেখানে তো কোনও সমস্যা হয়নি। নির্বাচনও হয়েছে, পূজাও হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে পশাপাশি। কোনও সমস্যা তো হয়নি।
রায়ের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পরে কী হতে পারে, কী ব্যবস্থা নেবে ইসি- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আদালত যেখানে রায় দিয়েছে, সেখানে আপনাদের, আমাদের, কমিশনের তো কোনও বিষয় নেই। রায়ের প্রতি তো তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তারা আপিল করলে করতে পারেন। আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। নির্বাচন ও পূজা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের তো কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। কিন্তু ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় ভোটের তারিখ বদলানোর জন্য আদালতে রিট আবেদন করেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।