নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত চারজনের মধ্যে দু’জনের প্রাণভিক্ষার পিটিশন মঙ্গলবার খারিজ করে দিলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তাদের ফাঁসির আদেশ বহাল থাকল। বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের অন্যতম দুই অপরাধী বিনয় শর্মা ও মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন। দিল্লি কোর্ট অপরাধীদের মৃত্যু পরোয়ানা ইস্যু করার পর এই আর্জি জানানো হয়েছিল দুই অপরাধীর তরফে। এটাই ছিল আদালতে তাদের পক্ষে ফাঁসি আটকানোর শেষ চেষ্টা। এখন কেবল বাকি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো। ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন। সাত বছর আগে ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগে চার অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেন আদালত। গত সপ্তাহে দিল্লি আদালত চার অপরাধীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। তারপরই এই কিউরেটিভ পিটিশন জারি করা হয়। চার অপরাধী-মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয়কুমার সিংহর ফাঁসির সময় ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টা। গত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়া তার বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তারা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাদের তুলে নেয়া হয়। বাসে ছিল ছয় ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তার সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। নির্ভয়া মামলা কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ওই তরুণীর ওপরে হওয়া নিষ্ঠুরতায় শিহরিত হয়েছিল সবাই। এর ফলে এই সংক্রান্ত আইনেও কিছু পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি নাবালকদের ক্ষেত্রেও আইনের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলানো হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের সাবালকদের মতো করে বিচার করার কথা ভাবা হয়।