কোচিংবাণিজ্য! কোচিংবাণিজ্য!! কোচিংবাণিজ্য!!! হাইকোর্টের নির্দেশেও বন্ধ হয়নি আওয়ামীবাদী এগিয়ে যাওয়ার ডিজিটাল বাংলায় কোচিংবাণিজ্য! দেশজুড়ে চলছে অবৈধ কোচিংবাণিজ্য। অর্থের ‘লোভে’ খোদ মানুষগড়া কারিগর নামের অনেক শিক্ষকই শিক্ষার নীতিমালা ও নৈতিকতা ভুলে গিয়ে আদর্শ বিচ্যুত হচ্ছেন। ফলে সারাদেশে কোচিংবাণিজ্য এখন তুঙ্গে।
প্রতিবছর দেশজুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার কোচিংবাণিজ্য চলছে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব প্রায় একই রকম। কাঙ্খিত শিক্ষার পিছনে বছরে লাখ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে কোচিং সেন্টারগুলো।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে যত্রতত্র। অভিযোগ রয়েছে, সরকার ঘোষিত নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে খোদ এমপিও সুবিধাভোগি শিক্ষকরা একদিকে কোচিং সেন্টারের মালিক হয়ে যেনো শিক্ষার প্রসারের নামে শিক্ষা বাণিজ্যের আদলে ‘কোচিং সেন্টার’ নামক দোকান খুলে বসেছেন। অন্যদিকে শিক্ষকদের অনেকেই কোচিং সেন্টারে অবাধে পাঠদান করাচ্ছেন।
কোচিংবাণিজ্য কার্যত নিষিদ্ধ হলেও এমপিও তথা সরকারি বেতন-বাতা সুবিধাভোগি শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফাঁকি দিয়ে অবাধে কোচিং ব্যবসা চালাচ্ছে। কোচিংবাণিজ্য থেকে মুক্ত নয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলও। ফলশ্রুতিতে অনুন্নত জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বিশেষ শিখনের নামে শিক্ষকরা অবাধে চালাচ্ছেন কোচিংবাণিজ্য। কোচিংবাণিজ্য বন্ধে গঠিত কমিটির উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কর্মতৎপরতা না থাকায় কর্মস্থলে ফাঁকি দিয়ে কোচিংবাণিজ্যে শিক্ষকরা জড়িয়ে পড়ায় যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ভাঙনকবলীত শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া এ উপজেলায় কাঙ্খিত মৌলিক শিক্ষা অর্জন থেকে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা।
জানা যায়, উপজেলার খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বনামধন্য শিক্ষকরাও নিজেদের তত্ত্বাবধানে বাসাবাড়িতে সাইনবোর্ডবিহীন কোচিং ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছেন। ব্যাচে ব্যাচে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়া পরীক্ষার্থী সরবরাহ ও মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করারও জোরালো অভিযোগ উঠেছে কিছু কিছু কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে।
একশ্রেণির কোচিংবাজ শিক্ষকদের চাপে সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী কোনো না কোনোভাবে মূল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অর্থের বিনিময়ে কোচিংয়ে পড়ছে। এ হিসাবে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই এক পর্যায়ে কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য। ফলে কোচিং সেন্টারগুলোর মালিক শিক্ষকরা শিক্ষার নাম ভাঙ্গিয়ে বছরজুড়েই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সচেতন মহলের অভিমত, ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিংবাজ শিক্ষকরা কোচিং সেন্টারে ছাত্রছাত্রী ভিড়াতে নানাবিধ ফিকির-ফন্দি আঁটে। অনেক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষায় শতভাগ পাস করিয়ে দেওয়াসহ বুয়েট, মেডিকেল ও নামি দামি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শতভাগ নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতিও ফেরি করেন।
অন্যদিকে ক্লাসে বোঝানো হয় না, তাই কোচিংয়ে পড়ি এমন উক্তি শিক্ষার্থীদের। উপজেলার সরকারি নেকজাহান পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকরা বাসাবাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষার দোকান দিয়ে বসেছেন। ফলে এ উপজেলার একমাত্র ওই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ক্রমেই অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নিজ নিজ কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী ভিড়াতে অনেক শিক্ষকই ক্লাসে নিজেদের কোচিং সেন্টারের নানাবিধ সাফল্যের দিক অবনীলায় তুলে ধরারও অভিযোগের অন্ত নেই। শিক্ষকরা শিক্ষা নামের নগ্ন বাণিজ্যে বেপরোয়াভাবে জড়িয়ে পড়ায় নিজ স্কুলের শিক্ষককের কাছেই গণিত, ইংরেজি, রসায়ন, পদার্থসহ পাঠ্যসূচির বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছে। কোচিং করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শিক্ষার্থীদের অকপট উত্তর, ক্লাসে যা পড়ায়, তাতে হয় না। সেখানে ভালোমতো বোঝানো হয় না। তাই কোচিং তো করতেই হয়। শত শত শিক্ষার্থীর একই মনোভাব ক্লাসে বুঝি না। বোঝানো হয় না। অভিভাবকের মুখেও একই কথা শুনা যায়। অভিভাবদের অভিযোগ, সরকার কোচিং নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা সরকারের নিয়ম মানছেন না। তারা কর্মস্থলে পাঠদানে ফাঁকি দিয়ে কোচিংবাণিজ্য চালাচ্ছেন। সন্তানের ভালো রেজাল্টের আশায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে বাধ্য হতে হয়।
সরকারি নেকজাহান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, জেজেকেএম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গুঠাইল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাড়িয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়ারচর আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়ারচর দাখিল মাদরাসা, মালমারা দাখিল মাদরাসা, ডিগ্রিরচর উচ্চ বিদ্যালয়, কুলকান্দি সামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, গোয়ালেরচর উচ্চ বিদ্যালয়, কাছিমারচর উচ্চ বিদ্যালয়, হাড়গিলা উচ্চ বিদ্যালয়, পচবহলা জয়তুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষীপুর হাজী ফুলমাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়, চার নং উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রায় সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ অভিভাবকের ভাষ্য, আমরা স্কুলের বাইরে কোচিং সেন্টারে পড়াতে না চাইলেও স্কুলের ক্লাসে শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগত কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দেন। সন্তানও যেতে চায়। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই কোচিংয়ে পাঠাতে হয়।
অভিভাবকদের দাবির মুখে শিক্ষকদের কোচিংবাণিজ্যের রাশ টেনে ধরতে ২০১২ সালের ২০ জুন ‘কোচিং বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। এরপর ওই বছরের ২৫ জুন নীতিমালায় একটি সংশোধনী আনা হয়। এতে সব বিষয়ের জন্য স্কুলভিত্তিক কোচিং ফি সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
নীতিমালায় বলা আছে, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য প্রতিষ্ঠানের দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন। নীতিমালা না মেনে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকলে ১. এমপিও স্থগিত বাতিল করা হবে। ২. বেতন ভাতাদি স্থগিত হবে। ৩. বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত হবে। ৪. বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ করা হবে। ৫. সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। ৬. চূড়ান্ত বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাস্তবে এ নীতিমালা কেউই মানছেন না।
এছাড়া নীতিমালায় আরও বলা আছে, ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে শুধুমাত্র অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ে মেট্টোপলিটন শহরে মাসিক সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, জেলা শহরে ২০০ টাকা ও উপজেলা বা স্থানীয় পর্যায়ে ১৫০ টাকা করে রশিদের মাধ্যমে ফি গ্রহণ করা যাবে, যা সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার বেশি হবে না। একটি বিষয়ে মাসে সর্বনিম্ন ১২টি ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্লাসে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে। সংগৃহীত ফি প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়ন্ত্রণে একটি আলাদা তহবিলে জমা থাকবে। প্রতিষ্ঠানের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সহায়ক কর্মচারীদের ব্যয় বাবদ ১০ শতাংশ অর্থ রেখে বাকি টাকা নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করা হবে।
কিন্তু নীতিমালার এ অংশও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সবাইকে কোচিংয়ে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষক স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে ব্যক্তিগত কোচিং ব্যবসা খুলেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা তুলে পুরো টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, নীতিমালা না মানলেও শাস্তি পেতে হয় না। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় কোচিং বাণিজ্য চলছে। লোক দেখানো এই নীতিমালা রেখে লাভ কার প্রশ্ন অভিভাবকদের। বিশেষ করে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে নিয়মিত কোনো ক্লাস নেই। পরীক্ষায় ভালো ফলের অজুহাতে বাধ্যতামূলক কোচিং করানো হচ্ছে। কোচিং ফি নির্ধারণ হচ্ছে ইচ্ছেমতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিংবাণিজ্য বন্ধের নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারির পর নীতিমালা কার্যকর করার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বাস্তবে ওই কমিটিও নিষ্ক্রিয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এ নীতিমালা জারির পর কোচিংবাণিজ্য শুধু বাড়েনি, বরং বেড়েছে কোচিং ফিও। আবার নীতিমালা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে পরস্পরকে ঘায়েল করার তৎপরতা। কোচিং বাণিজ্য বন্ধের মনিটরিং কমিটিও নিষ্ক্রিয় দেখা যায়। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে প্রণীত নীতিমালা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না তা মনিটরিংয়ের জন্য পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেট্টোপলিটন ও বিভাগীয় এলাকায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট, জেলা এবং উপজেলায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক এ কমিটি গঠন করা হয়। মেট্টোপলিটন ও বিভাগীয় এলাকার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সভাপতি হবেন এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হবেন সদস্য সচিব। জেলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সভাপতি, জেলা শিক্ষা অফিসার সদস্য সচিব এবং উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সদস্য সচিব হবেন। এছাড়া সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ এবং অভিভাবক সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে এই কমিটির কোনো কাজই পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
অভিভাবকদের দাবির মুখে শিক্ষকদের কোচিংবাণিজ্যের রাশ টেনে ধরতে ‘কোচিং বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। কিন্তু এ নীতিমালা কাগজেই রয়ে গেছে। আর এই নীতিমালা বাস্তবায়নে গঠিত মনিটরিং কমিটি নাম সর্বস্ব। কমিটির সদস্যরাও জানেন না কমিটি কী কাজ করছে।
আমরা বলতে চাই, কোচিংবাণিজ্য শব্দটি এখন জাতীয় লজ্জায় পরিণত। নীতিমালা না থাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র কোচিং সেন্টার গড়ে উঠছে। কিছু কিছু কোচিং সেন্টার শিক্ষার্থীদের প্রতারণা করছে। নীতিমালা থাকলে সেটা বন্ধ হবে। কোনো কোনো কোচিং সেন্টারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করে।
আমার মনে করি, কোচিংবাণিজ্য আইন করে বন্ধ করা যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষকদের নৈতিক দিক থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নেই। এছাড়া অবৈধ কোচিংবাণিজ্য বন্ধের জন্য দ্য রিকগনাইজ নন-গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল টিচার্স টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস সার্ভিস রেগুলেশনস-১৯৭৯ আইনের যথাযথ প্রয়োগের প্রয়োজন।
(লেখক : এম. কে. দোলন বিশ্বাস, দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক)