এবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখর লাল কুন্ডু লুদু।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা হিসাবে নিজ উপজেলায় দায়িত্ব নেবার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি । ফলে সঙ্গত কারনে এ নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো অভিযোগ করা হয়, ডাঃ আব্দুল কাদের অফিস প্রধান হিসাবে ক্যাম্পাসে থাকার নিয়ম থাকলেও তিনি বগুড়ায় থাকেন। সরকারি বরাদ্দকৃত জীপ গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে তিনি ব্যবহার করে থাকেন। তার অবহেলায় হাসপাতালের বর্হিবিভাগ অন্তবিভাগ ও জরুরী বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পান না। তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের সরকারি ঔষধ বাহিরে বিক্রির অভিযোগ আছে। অভিযোগে অভিযোগ করা হয় জরুরী বিভাগে ডাঃ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে ইনচার্জ গোলাম মুর্তজা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে অবৈধভাবে বিভিন্ন রোগীর কাজ থেকে সেলাই করা, সেলাই কাটাসহ নানা কাজে টাকা আদায় করে থাকেন । এছাড়া হাসপাতালের ইনজুরি সার্টিফিকেট বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে চাঁদা আদায়, হারবাল বাগানের নামে টাকা লুটপাট, ডেঙ্গুজ্বরে চিকিৎসায় বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত, রোগীদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডাঃ আব্দুল কাদের তার অনিয়ম ও দুর্নীতি আড়াল করতে গত ১৩ জানুয়ারী সোমবার শেরপুর থানায় বগুড়া জেলা কেমিষ্ট্র এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মো. রফি নেওয়াজ খান রবিনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন জিডি করেছেন।
এবং ১৫ জানুয়ারী বুধবার তার নিজ চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করে বগুড়ার জনপ্রিয় ব্যক্তি গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে রবিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং ডা. আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে সঠিক বিচারের আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে, বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোকারিম হোসেন রবি, সহ সভাপতি মোকাল্লেম হোসেন, আকরাম হোসেন, শ্যামল কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করাকে কেন্দ্র করে আমাকে হুমকি দেয়া অব্যাহত আছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ জানুয়ারী বগুড়া সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কেমিষ্ট্র এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মো. রফি নেওয়াজ খান রবিনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী এবং ১৫ জানুঃ তারিখে এক সংবাদ সম্মেলনে চেন্ডার না পাওয়া তাকে হাত পা ভেঙ্গে দেবার হুমকী প্রদানের অভিযোগ করে ছিলেন ডাক্তার আব্দুল কাদের ।