সৈয়দপুর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে চলছে ভর্তি বাণিজ্য। মানা হচ্ছে না ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা ও শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা। অডিট থেকে রক্ষা পেতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ২ থেকে ৩টি রেজিস্ট্রার খাতা ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অভিযোগে এসব চিত্র মেলে। জানা যায় উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তিতে মিলাদ, আইডি কার্ড, স্কুল ম্যাগাজিন, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, পুনরায় ভর্তি, উন্নয়ন ফি এসব নানা খাত দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত টাকা আদায় করছে। কোনো কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফরম বিক্রি করা হয়েছে ১’শ থেকে ২’শত টাকা করে। জানুয়ারি মাসের বেতন ব্যাতত ভর্তি ফি ধরা হয়েছে নি¤েœ ১ হাজার ১’শ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের বেতন ছাড়া নেয়া হচ্ছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আবার কোনো কোন প্রতিষ্ঠানে বিনে পয়সায়ও ভর্তি করা হয়েছে এমন তথ্য মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় শিক্ষক এবং অভিভাবক জানান মেধা থাকার পরেও অর্থের অভাবে ভালো প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পাচ্ছেন না। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মাধ্যমিক, নি¤œমাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের (সংশোধিত) পরিপত্র এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী মফস্বল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সেশন ফিসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৫’শ টাকা আর পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা হবে। এ ছাড়া এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেয়া যাবে না। উন্নয়ন ফি খাতেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেয়া যাবে না। স্কুলে ভর্তি ও সেশনসহ অন্যান্য ফি বেশি নেয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন। এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অনিয়মগুলো খতিয়ে না দেখে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। অনেকটা অভিভাবকদের জিম্মি করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভর্তি বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। ওই সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছে অনেক অভিভাবক।