রাজশাহীর তানোর চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু যাওয়ায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি এখন শতভাগ। প্রতিজন শিক্ষার্থী ৩কেজি চাউল ও ৫০টাকা জমা দিয়ে ৩মাস দুপুরের খাবার পাচ্ছেন। মিড-ডে মিল (বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার) চালু হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি এখন শতভাগ। (আজ) গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন চাপড়া উচ্চ বিদ্যারয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়েই রান্না করে শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিফিন বক্্ের খাবার তুলে দিচ্ছেন, কেউ খাবার সংগ্রহ করছেন কেউ খাচ্ছেন কেউ আবার খাওয়া শেষে টিফিন বক্্র পরিস্কার করছেন। প্রায় সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থীর কেউ বাড়িতে যাননি, সকলের মধ্যেই একটা উৎসব মুখর ও প্রান চাঞ্চল্যে বিরাজমান পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় মিক্ষার্থীরা বলেন, স্বল্প মুল্যে বিদ্যালয়ে (খিচুড়ী) দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থাকার ফলে দুপুরে বাড়িতে যাওয়া আসার সময় ও প্ররিশ্রম হচ্ছেনা। সেই সাথে সকল শিক্ষার্থী একই সাথে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন তারা। খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোন অভিযোগ নেই। এব্যাপারে তানোর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যান সমিতির সভাপতি ও চাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, গত নভেম্বর মাস থেকে মিড- ডে মিল চালু করা হয়েছে, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনীর ৩শ’৭৫ জন শিক্ষার্থীর প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ মাসের জন্য ৩ কেজি চাউল ও ৫০টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিদিন দুপুরে খিচুড়ী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন বিদ্যালয়েই রান্না করে সকল শিক্ষার্থীর নিজ নিজ টিফিন বক্্ের দুপুরের খাবার দেয়া হয়। তিনি বলেন দুপুরের খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করায় কোন শিক্ষার্থীই এখন স্কুল ফাকি দিচ্ছেনা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন মিড-ডে মিল চালু করায় বিদ্যালয়ে এখন উপস্থিতি শতভাগ। মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।