রাজধানীর ব্যবসায়ী ও আরবান হেলথ কেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কর্মকর্তা তোশারফ হোসেন পপি হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশসহ ৩ আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে রংপুর সিনিয়র কোতয়ালি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আরপিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওছার। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপি কোতয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ জানুযারি রাজধানীর এনায়েতগঞ্জ লেন হাজীরবাগের ব্যবসায়ী ও আরবান হেলথ কেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ তোশারফ হোসেন পপি তার বাসায় গৃহপরিচারিকার (কাজের মেয়ে) সন্ধান ও অর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আলোচনার জন্য রংপুরে পুলিশ কনস্টেবল রবিউল হোসেনের কাছে তিনি আসেন। ওই দিন রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্টান্ডে এলে সেখান থেকে তাকে অপহরণ ও গুম করা হয়। অপহরণের ৯ দিন পর রোববার সকালে পুলিশ বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকা থেকে তার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় ব্যবসায়ীর ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে এবং মোবাইল ট্রাকিং করে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রবিউলকে শুক্রবার রাতে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার দুলাভাই সাইফুল ও তাদের বাসার কাজের ছেলে বিপুলকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে রোববার সকালে বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকায় রবিউলের বড় বোন লাবণী আক্তারের বাড়ির পাশে একটি আখ ক্ষেত থেকে অপহৃত তোশারফ হোসেন পপির লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।