রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সাত জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজন চিকিৎসক ও কিছু শিক্ষানবিশদের দিয়ে চলছে এই বিভাগটি। এতে প্রয়োজনের সময় চিকিৎসকের কাছ থেকে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে হতাশ রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রমেক হাসপাতালের ৩৭নং ওয়ার্ডের পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেই তেমন চিকিৎসক। কিছু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর আয়াদের সামান্য সহানুভূতিই যেন রোগীদের সেবার ভরসা। তবে একজন চিকিৎসকের নাম ও চেহারাই রোগীদের চোখের সামনে ভেসে উঠে বারবার। কারণ এই বার্ণ ইউনিটে দায়িত্বে থাকা অন্য চিকিৎসকদের দেখা নেই।
সংশ্লিষ্ট ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, খাতা কলমে বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সাত চিকিৎসক দায়িত্বে রয়েছে। তবে দায়িত্ব পালনের বেলায় দিন-রাত শুধু এম.এ হামিদ পলাশ নামে একজন চিকিৎসকই থাকেন। তিনি ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলেই নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে বার্ণ ইউনিটে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনের সাথে কথা হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, বার্ণ ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেওয়া হয় না। তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নিয়ে যান।
চলতি শীত মৌসুমে গত এক মাসে এই ইউনিটে এখন পর্যন্ত ৮ নারী ও দুই শিশুসহ মারা গেছে ১৩ জন। এখনো চিকিৎসাধীন আছে ২৫ জন। রোগীরা কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ আর হতাশায় ভুগলেও এনিয়ে কথা বলতে নারাজ বিভাগটির প্রধান।
তবে শীত নিবারণে রোগীদের গরম কাপড় ব্যবহারসহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বার্ণ ইউনিট ও প্লাষ্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম.এ হামিদ পলাশ। তিনি বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্যই সব সময় কাজ করছি। প্রয়োজনীয় ওষধ ছাড়া তাদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।