শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্কে যাতায়াতের প্রধান সড়কটি পাঁচ বছর ধরে খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ফলে এই পার্কে ভ্রমন পিয়াসীদের ২০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে সীমান্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ি পরিবেশের ৩৮০ একর বনভুমি নিয়ে ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ বন বিভাগ মধুটিলা ইকোপার্কটি নির্মাণ করেন। এই ইকোপার্কে যাতায়াতের জন্য উপজেলার নন্নী বাজার হয়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ধরে এগুলেই মধুটিলা ইকোপার্ক যাওয়া যায়। ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তত্তাবধানে এই পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়। এই সড়কে নন্নী বাজার হয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ৫/৬ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। চার বছরের মাথায় ২০১৪ সাল থেকে সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ, কার্পেটিং ও কোন কোন স্থানে ইট সুড়কি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর বর্ষা মোওসুমে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকায় ইকোপার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বেকায়দায় পড়েন।
স্থানীয় ধোপাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শান্ত মিয়া বলেন, সীমান্ত সড়ক হওয়ার আগে এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ইকোপার্কের দর্শনার্থীরা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করত। সড়কের এমন বেহাল অবস্থা দেখে এই সড়কে তেমন ছোট বড় গাড়ী আসে না। তাই শুধু দর্শনার্থী নয় স্থানীয়দের জন্যও সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
এ ব্যাপারে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম বলেন, মধুটিলা ইকোপার্কের শেরপুর-নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কের নন্নী বাজার থেকে পার্ক পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি খুবই খারাপ। এখন এই সড়ক দিয়ে তেমন দর্শনার্থী আসে না। তবে সীমান্ত সড়ক দিয়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে পার্কে দর্শনার্থীরা আসছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পার্কে কোন প্রকার নতুনত্ব দেখার কিছু সংযোজন না করায় দিনদিন দর্শনার্থী কম আসছে। একই জিনিস একই স্থানে বারবার আসার আগ্রহ করে না মানুষ। তিনি সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।