রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভায় এক দিনের ব্যবধানে নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পিরিট পানে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাড়াহুড়া করে তাদের লাশ দুইটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার সুইপার কলোনির মৃত গোপালের ছোট ছেলে অমল কুমার (৩৩) গত সোমবার দুপুরে মাত্রাতিরিক্ত নেশা জাতীয় স্পিরিট পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যায়। বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত মাটি চাপা দেয়। অমলকে তাড়াহুড়া করে মাটি চাপা দেয়ায় এলাকার লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অমলের বড় ভাই কমল কুমারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীনবস্থায় বিকেল তিনটার দিকে সে মৃত্যুবরণ করেন। পরপর দু¦ি ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার লোকজন স্পিরিট পানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে বলে ধারণা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমলকে মাটিচাপা দিয়ে তার সৎকার করেন বলে এলাকার লোকজন জানান। এলাকার লোকজনের অভিযোগ তাহেরপুর পৌরসভায় কয়েকটি হোমিও’র দোকানে নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পিরিট বিক্রি হয়ে থাকে। ওই সব দোকান থেকে মাদকসেবীরা স্পিরিট সংগ্রহ করেন এবং পান করে থাকেন। এলাকার লোকজন দ্রুতগতিতে ওই সকল হোমিও দোকান গুলো অভিযান চালিয়ে অবিলম্বে নেশা জাতীয় স্পিরিট বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, অমল গত সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় মারা যায়। তার মৃত্যুর খবর জানতে পারলে বড় ভাই কমল অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীনবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাদের দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে তিনি জানিয়েছেন।