নীলফামারী ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিমখড়িবাড়ী গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে সৈয়দুল আরেফিন(৩৬) দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দিনে দিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আরেফিনের কলিজায় ঘা হয়েছে তাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এবং তা ব্যয় বহুল যা আরেফিনের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আরেফিন ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত (প্রাইভেট)বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্ত্রী শ্যামলী আক্তার ও এবারে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া একমাত্র মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে নিয়ে আরেফিনের অভাবের সংসার টানাপোড়ানের মাঝে চলছিল। হটাৎ ২০১৮ সালে আরেফিন অসুস্থ্য হয়ে পরলে তার চিকিৎসার করার জন্য স্ত্রী শ্যামলী প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। রংপুর মেডিকেলে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর আরেফিনের হার্ডের সমস্যা ও ডায়াবেটিস ধরা পরে। সেখানে তিনমাস চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আরেফিনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। ঢাকার ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশনে একমাস চিকিৎসার পর কোনো উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত (প্রাইভেট) হাসপাতাল বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেফিনকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাঃ তারেক আলমের তত্বাবধানে প্রায় সাতমাস চিকিৎসা করার পর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ তারেক আলম জানান, আরেফিনের কলিজার একাংশে(সিরোসিস)ঘা দেখা দিয়েছে। তাকে বাচাঁতে খুব শিগ্রই উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং তা ব্যয় বহুল। যা আরেফিনের পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আরেফিনের সহায় সম্বল বলতে বাবার কাছে পাওয়া ১০ মতাংশ জমি ছিল যা দীর্ঘদিন চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। আরেফিনকে বাঁচাতে তার স্ত্রী শ্যামলী আক্তার ও একমাত্র মেয়ে বৃষ্টি আক্তার দেশের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। আরেফিনের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ সঞ্চয়ী হিসাব নং-৩৪২৩০০২৮, সোনালী ব্যাংক, ডিমলা শাখা। বিকাশ(আরেফিন)০১৩০৭৩৯২১৫৯।