নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা এলাকায় মধুমতি নদীর পাড়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
লোহাগড়া উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির পর ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই সরদার, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজি হাফিজুর রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ খায়রুল ইসলাম, লক্ষ্মীপাশা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বি এম লিয়াকত বিশ্বাস, লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোজাম খান, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোমান রায়হান, টিম তারুণ্য-১০০ এর প্রতিষ্ঠাতা রাসেল বিল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘অনগ্রসর, বঞ্ছিত ও অবহেলিত নড়াইলবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে নড়াইল-২ আসনের সংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা লোহাগড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। অথচ এলাকার একটি কুচক্রীমহল অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বাঁধা দিচ্ছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। এলাকার উন্নয়নে সর্বসাধারণ মাশরাফি বিন মর্তুজার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নড়াইল, লোহাগড়াসহ এলাকার ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। নড়াইল জেলাকে সমৃদ্ধি করতে ও বেকারত্ব দূর করতে মাশরাফির এ উদ্যোগের পাশে থাকতে হবে।
এদিকে, অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিরোধিতা করে গত ১৫ জানুয়ারি চরকালনা গ্রামবাসীর আয়োজনে ওই এলাকায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, লোহাগড়া উপজেলার চরকালনা গ্রামের ফসলি ও জনবহুল এলাকা অধিগ্রহণ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে দাবি করেন তারা।
অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, এলাকাবাসী হেমায়েত হোসেন মোল্যা, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মোল্যা, ইব্রাহিম মোল্যা, ইউপি মেম্বর গোপাল বসু, ইউপি মেম্বর আনোয়ার হোসেন মৃধা, আকরাম হোসেন, ওয়ালিয়ার রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখি ব্যানার্জী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন। ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।